সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর আয়রণ ব্রিজ সংস্কার প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরগুনা ঠিকাদার বৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয় লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ঠিকাদার গাজী ফারুক আহম্মেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠিকাদার গাজী সোহেল, জিএম হাসান, মামুন হাওলাদার, মোয়াজ্জেম খান ও মিরাজ।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বরগুনা এলজিইডির কতিপয় অসাধু ঠিকাদার বাদল খান, শহিদ খান, নিজাম তালুকদার ও আলমাস খান আমতলী উপজেলায় ৯৬ কোটি টাকার ভুয়া আয়রণ ব্রীজ দেখিয়ে তার সংস্কারের টেন্ডার তৈরী করে ঢাকা আইবিআরপি প্রকল্পের কার্যালয় বরগুনা থেকে প্রেরণ করায়। অথচ আমতলীতে ওই সব ব্রীজের কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি।
ঠিকাদাররা আরও অভিযোগ করেন, ওই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, পরিচালক আবদুল হাই, নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হুদা, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আতিয়ার রহমান, আমতলীর উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক আনছার আলী। ওই প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী এই জাতীয় ভুয়া প্রকল্প সৃষ্টি করে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। তারমত একজন দুর্নীতি বাজ অফিসার প্রকল্প পরিচালক হলে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তারা আরও বলেন, ওই প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী কিছু দিনের মধ্য প্রজেক্ট পরিচালক হতে যাচ্ছেন। তিনি যদি প্রকল্প পরিচালক হন তাহলে সরকারের মারাত্মক ক্ষতি হবে। ক্ষতি হবে বরগুনার সাধারণ ঠিকাদারগণ।
বক্তারা বলেন, আহম্মেদ আলীর মত দুর্নীতিবাজ অফিসারকে চাকরী থেকে অনেক আগেই বিদায় করা উচিৎ ছিল। ঠিকাদার নিজাম উদ্দিন তালুকদার বলেন, ভুয়া প্রকল্প ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমার লাইসেন্সে ভুয়া প্রকল্পে কয়েকজন ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ গ্রহন করেছে। একটি জাতীয় দৈনিকে ওই নিউজ ছাপা হলে সেই সব প্রকল্প সরকার বাতিল করে দেয়।
অভিযুক্ত আহম্মেদ আলী বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি খুব ব্যস্ত আছি। আপনাদের সাথে পরে কথা বলব।