পাঁচ মাস আগে শাকিলের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করেন শান্তা আক্তার (২০)। কিন্তু বিয়ের দুমাস না পেরুতেই স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর। বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় চলে আসেন বাপের বাড়ি। সেখানে এসে ছুরিকাঘাতে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করেন শাকিল। শান্তা এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় মৃতপ্রায়। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শান্তা আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হেটি খাইন গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে।
আনোয়ারা থানা, স্থানীয় ও শান্তার পরিবারের সূত্রে জানা যায়, শান্তা বাপের বাড়ি চলে আসার পর উভয় পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে পাশের পালের হাটে গত বুধবার সালিসে বসে। বৈঠক চলাকালে সবার নজর এড়িয়ে শাকিল শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শান্তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। শান্তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।
শান্তা আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, পাঁচ মাস আগে পরিবারের অমতে আমার বোন ভালোবেসে গুজরা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে শাকিলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের দুই মাস পার না হতেই শাকিল আমার বোনকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। নির্যাতন সইতে না পেরে সাত দিন আগে আমাদের ঘরে চলে আসে। এ ঘটনা নিয়ে আমরা উভয় পরিবার বুধবার আমাদের বাড়ির কাছে পালের হাটে সন্ধ্যার পর সালিস বৈঠক হয়। বৈঠক চলাকালীন আমাদের পরিবারের লোকজন ঘরে না থাকার সুযোগে শাকিল ঘরে গিয়ে আমার বোনকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটজনক।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর শাকিল ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করা হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ওসি এসএম দিদারুল ইসলাম জানান, শান্তা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্শন করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে শান্তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.