ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টির সাথে বাতাস থাকায় আমন ধানের গাছ গুলো হেলে পড়েছে। এছাড়া খেসারি ডাল ও শীতকালিন শাকসবজির বাগানে পানি জমে আছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
রাজাপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে ১১২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪৩০ হেক্টর জমির ধান মাঠে রয়েছে। বাকিট কর্তন করা হয়েছে। মোট ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শস্যের আবাদ হবে। ইতোমধ্যে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫০ হেক্টর জমিতে রয়েছে খেসারি ডাল। এছাড়াও ৪৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালিন শাক সবজি চাষ হয়েছে। উপজেলা সদরের পিংড়ি, বাড়ইবাড়ি, পুকুরিজানা, সাউথপুর, সাংগর, মানকিসুন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও সাথে দমকা বাতাসের কারণে ধান গাছ গুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান গাছ গুলোর অধিকাংশ ধানের ছড়া পানির মধ্যে ডুবে রয়েছে। খেসারি ডাল ও শীতকালি শাক সবজির বাগানে পানি জমে রয়েছে।
পিংড়ি এলাকার কৃষক সেলিম মিয়া জানায়, বৃষ্টি সাথে বাতাস থাকায় ধান গাছ পানির মধ্যে নুয়ে পড়েছে। ধানের ক্ষতি হওয়ায় এখন লোকসানে পড়তে হবে তাকে।
সাউথপুর এলাকার কৃষক আমির হোসেন জানায়, এ বছর আমনের ফলন ভাল হয়েছিল। তবে ধান ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমায় সব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
মানকিসুন্দর এলাকার জব্বার হোসেন জানায়, ধারদেনা করে জমিতে শীকালিন বিভিন্ন শাক সবজির আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। ফসলের ক্ষতি হলে লোকসানে পড়তে হবে। পরামর্শে দিতে কৃষি অফিসের কাউকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, আমন ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়লেও তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কারণ ধান অনেক আগেই পরিপক্ক হয়ে গেছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে খেসারি ডালের খেতে পানি জমেছে। যদি দুই এক দিনের মধ্যে পানি নেমে না যায় তবে খেসারি ডালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান শীতকালিন শাক সবজি ক্ষেতে পানি জমে না থাকলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। ক্ষতির পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.