বার্তা ডেস্ক:
পুর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে ঝালকাঠির কাঠালিয়ার বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা পরিষদসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা পরিষদের অফিস পাড়া, উপজেলা পরিষদ মাঠ, আবাসিক এলাকা, ইউএনওর বাস ভবন, হাসপাতাল ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ২০টির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসময় অধিকাংশ অফিস ৩/৪ ঘন্টা পানিবন্ধি হয়ে পড়ে। ব্যাহত হয় অফিসের স্বাভাবিক কাজ কর্ম। উপজেলা পরিষদ চত্ত¡র ও সদরের বিভিন্ন রাস্তা ঘাট পানির নিচে নিমজ্জিত হয়।
এদিকে গত দুই দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষখালী নদীর তীরবর্তী আমুয়া, ছোনাউটা, ঘোসের হাট, বড় কাঠালিয়া, আউরা, হেতালবুনিয়া, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, কচুয়া, শৌলজালিয়া, সোনার বাংলা, রগুয়ার দড়িরচর, জাঙ্গালিয়া, ছিটকী ও আওরাবুনিয়াসহ ২০টির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে অনেক পুকুর ও ঘেরের মাছ। তলিয়ে গেছে পানের বরজ, কলা বাগান। বাড়ির আঙ্গিনা, বসতঘর ও রান্না ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় ও অভ্যান্তরীণ রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
উপজেলা পরিষদের সামনের কম্পিউটার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, বেবীবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর এইদিনে উপজেলা পরিষদসহ আমাদের দোকান পাটের সামনে পানিতে তলিয়ে যায়।
বিষখালী নদী পাড়ের বাসিন্দা আঃ রব খান জানান, ঝড়-বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসলে আমারা খুবই আতংক থাকি। বিশেষ করে রাতে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসে থাকি। কখন বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে নদীতে চলে যায়। দুপুরে হঠাৎ করে যেভাবে পানি উঠছে এতে খুবই বিপদে আছি।
আমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ফোরকান সিকদার জানান, জোয়ার আসলেই কাঠালিয়ার ৬টি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফলে মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বদু সিকদার জানান, বিষখালী নদীতে বেবীবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর পানি উঠে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রসহ নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, বিষখালী নদীর বেরীবাঁধ না থাকায় পুর্ণিমার জোয়ারে উপজেলা পরিষদ এলাকা তলিয়ে যায়। তবে নদীতে বাটা লাগলে পানি নেমে যায়। প্রতিবছরই এ মৌসুমে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.