বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে নেমে সেন্টারিং খুলতে গিয়ে রাজমিস্ত্রী মো. আসাদুল (৩০) ও স্থানীয় শ্রমিক মো. মজনু মিয়া (২৩) নামে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই জনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মো. শুভ (২৫) নামের স্থানীয় এক যুবক গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মো. আসাদুল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌড়িপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও মজনু মিয়া চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের শাহাদাৎ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হায়দার মিয়া, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের স্পেন প্রবাসী মো. মিরাজ খানের বাড়িতে গত রমজান মাসে একটি নতুন সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। মিরাজ খানের পক্ষে তাঁর বাড়ির কাজের দেখাশুনা করেন ছোট ভাই পলাশ খান। দুই মাস পরে নুতন সেপটিক ট্যাংকের মূখ খুলে ভিতরে ঢুকে সেন্টারিং এর কাঠ খুলতে আসাদুল নিচে নামলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ অবস্থা দেখে বাড়ির মালিকের ভাই পলাশ খান প্রতিবেশি যুবক মজনুকে ডেকে নিয়ে আসেন রাজমিস্ত্রীকে উদ্ধার করার জন্য। মজনু মিস্ত্রীকে উদ্ধার করতে ট্যাংকির ভিতরে ঢুকলে সেও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে মো. শুভ নামে স্থানীয় এক যুবক নিচে নেমে দড়ি দিয়ে বেঁধে দুই শ্রমিককে ওপরে তোলে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁদের তিন জনকে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদেরকে মৃত ঘোষাণা করেন। দুই শ্রমিককে উদ্ধার করতে গিয়ে গুরতর অসুস্থ্য মো. শুভকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পলাশ খান জানান, রাজমিস্ত্রী ভিতরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। কখন মজনু ভিতরে ঢুকছে তা আমি দেখিনি।
মৃত্যু মজনু’র বোন সুমাইয়া জানান, মজনু’কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ট্যাংকের ভিতরে নামিয়েছে পলাশ। সে নিজে নামে নায়। মজনু ট্যাংকের ভিতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লোকজন থাকলেও তাকে কেউ উদ্ধার করতে নামেনি।
ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আলী আজিম বলেন, দুই শ্রমিককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। দীর্ঘ দিন সেপটিক ট্যাংকের মুখের ঢাকনা বন্ধ থাকায় মিথাইন গ্যাসের ফলে সৃষ্ট বিষাক্ত কার্বনে অক্্িরজেন শূন্য হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হতে পারে।
কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, সেপটিক ট্যাংকির কাজ করতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। দুই শ্রমিকের লাশ বর্তমানে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। লাশের মায়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.