বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় নির্মানাধীন বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়াগেছে। উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কৈখালী গ্রামে গত মঙ্গলবার (৯মার্চ) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ওই গ্রামের মোঃ আমির মুন্সী ও মোঃ মজিবর মুন্সী’র মধ্যে দক্ষিণ কৈখালী মৌজার জে.এল নং-২৪, খতিয়ান নং-৮৭০ ও ৪০৪ নং দাগে ৪ কাটা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
তারই পেক্ষিতে ঘটনার দিন মোঃ মজিবর মুন্সী তার দলবল নিয়ে ঘটনা স্থলে যান এবং মোঃ আলিম মুন্সী ও তার পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দেওয়ায় আমির মুন্সী’র নির্মানাধীন বসতঘর ভাংচুর ও পানির মটর, লোহার ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও মূল্যবান দলিলপত্র নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মোঃ আমির মুন্সী জানান, সম্পত্তি আমার পিতা দলিল মূলে ক্রয় করেন। আমরা আমাদের জমিতে ঘর তুলতে গেলে মজিবর মুন্সী, তার ছেলে রাসেল মুন্সী, জামাতা শাহীন সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাধা দেয় এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আমার নির্মানাধীন ঘর ভেঙ্গে ফেলে ও পানির মটর নিয়ে যায়। এছাড়া লোহার ট্রাঙ্কে ৭০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন মূল্যবান দলিল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা দলবল নিয়ে চলে যায় এবং আমাদের হুমকী দেয় যদি চাঁদার এক লাখ টাকা না দেই ও পুলিশ কিন্বা আদালতের আশ্রয় গ্রহন করি তাহলে আমাদের মেরে লাশ নদিতে ভাসিয়ে দেবে।
এ বিষয়ে মোঃ রাসেল মুন্সী অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন সম্পত্তি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে সে সম্পত্তি আমার দাদার। ওই সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান ও ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। আমরা কোন ভাংচুরের ঘটনা ঘটাইনি।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে যে ঘর উঠাইছে বা ঘর ভেঙ্গে ফেলা হইছে তাহলে থানায় আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনা আমার নলেজে আছে।
https://youtu.be/VP_izZg7tA4
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.