বিশেষ প্রতিনিধি:
উপকুলীয় জেলা ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিষখালী নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। সমুদ্রে লগুচাপটি নিম্মচাপে পরিনত হয়েছে। এর প্রভাবে তীরে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বিষখালী নদীতে বেরিবাধ না থাকায় নদী তীরবর্তী ১২ গ্রামের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ এবং এর আশপাশের সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা ফলে যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না।
জীকিবার তাগিদে রিকশা ও অটোচালকরা বের হলেও যাত্রী সংকটে পড়তে হয়েছে। উপজেলা সদর আমুয়া বন্দর, মরিচবুনিয়া, কৈখালী বাজার, বানাই হাট, সাতানী বাজার, সেন্টারের হাটের বেশির ভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। বিষখালী নদীতীরবর্তী আমুয়া, হেতালবুনিয়া, মশাবুনিয়া, জয়খালী, কাঠালিয়া সদর, বড় কাঠালিয়া, কচুয়া, সোনারবাংলা, তালগাছিয়া, রঘুয়ারচর,রঘূয়ারদড়ি চর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠসহ ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলা সদরের দক্ষিন আউরা আশ্রয়ন প্রকল্পের অর্ধশত ঘর। বাড়ী ঘর তলিয়ে যাওয়ায় দুপুরে অনেকের পরিবারে রান্না হয়নি। পুকুর ও ঘের থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে।
উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের কৃষক আবদুস ছালাম বলেন, তিল ও মুগডালের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁস মুরগী গবাধী পশু নিয়ে পড়েছে বিপদে।
বড় কাঠালিয়া গ্রামের হালিম সিকদার বলেন, বিষখালী নদীতে বেরিবাধ না থাকায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকায় আর্থিক সহায়তা করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.