অনলাইন ডেস্ক:
করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন নলছিটির সেই সহকারি শিক্ষিকা রেহানা পারভীন। শুক্রবার দুপুরে তার ব্যাংকার ছেলেই তাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়েই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সামনে থেকে বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়।
এম্বুলেন্স এবং কোনো যানবাহন না পেয়ে অক্সিজেন শরীরের সাথে বেঁধে মূর্মূষ ও করোনা আক্রান্ত মা রেহানা পারভীনের মুখে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে ১৭ এপ্রিল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে র্ভতি করানো হয়।
তখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক র্সাজেন্ট তৌহিদ টুটুল ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে সেটি ভাইরাল হয়। ঝালকাঠি কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জিয়াউল হাসান টিটু বলেন, সকালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে মাকে ছাড়পত্র প্রদান করেন। এখন মা সর্ম্পূণ সুস্থ।
আমার কাছে এটি পরম সৌভাগ্যের ও আনন্দের, চরম সংকটকালীন সময়ে যে মোটরসাইকেলে করে মাকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়েছিলাম।
আজ সেই মোটরসাইকেলে করে মাকে সর্ম্পূণ সুস্থ অবস্থায় নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।
তিনি ও তার ছোট ভাই রাকিবুল হাসান ইভান মাকে নিয়ে নলছিটি পৌরসভার ৭ নং ওর্য়াডের র্সূযপাশা গ্রামে ফেরেন। মাকে নিয়ে তাদের এই বাড়ি ফেরাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ বিজয় উল্লেখ করে জিয়াউল হাসান জানিয়েছেন, ৬ দিন মুর্মূষু মাকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে র্ভতি রেখে পুরোপুরি সুস্থ করে বাড়ি ফিরেছেন।
১৭ এপ্রিল তার মা রেহানা পরভীনের অক্সিজেন সেচুরেশন ৭০ অবস্থায় নিজ শরীরে ৮ লিটার মাত্রার চলমান ২০ কেজি ওজনের অক্সিজেন সিলিন্ডার বেধে যে বাইকে করে মাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম।
আজ শুক্রবার মমতাময়ী মায়ের ফুসফুসে অক্সিজেন সেচুরেশন ৯৬ নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি একই বাইকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.