দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও পুরু ধূলোর চাদরে ঢেকে গেছে চীনের রাজধানী বেইজিং। মঙ্গোলিয়া ও চীনের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা বাতাস এই ধূলো বয়ে এনেছে। এর ফলে রোববার সকাল থেকে শহরটি ঘন ধূলোর কুয়াশায় ঢেকে গেছে। খবর রয়টার্সের।
প্রবল ধূলোর কারণে শহরের দৃষ্টিসীমা হ্রাস পেয়েছে। রাস্তায় ধূলো ওড়ার কারণে পথচারীরা তাদের চোখ ঢেকে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৯ বছর বয়সী ফ্যান বলেন, ‘এটি আজ বেশ গুরুতর। প্রতি মাসেই এক বা দুই দিন এরকম হচ্ছে।’
রোববার (২৮ মার্চ) সকালে বেইজিংয়ের বায়ুর মানের সূচক সর্বোচ্চ ৫০০তে পৌঁছেছে। এর ফলে কিছু জেলায় পিএম১০ নামে পরিচিত উড়ন্ত কণার মাত্রা দাঁড়িয়েছে প্রতি কিউবিক মিটারে ২ হাজার মাইক্রোগামে।
এছাড়া পিএম২.৫ কণার মাত্রা পৌঁছেছে প্রতি কিউবিক মিটারে ৩শ মাইক্রোগ্রামে। যা চীনের সাধারণ মাত্রা ৩৫ মাইক্রোমের চেয়ে অনেক বেশি।
পিএম২.৫ কণা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর কারণ এই কণা এতই ক্ষুদ্র যে তা রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে। এর চেয়ে বড় আকৃতির পিএম১০ কণা ফুসফুসে প্রবেশে সক্ষম।
শুক্রবার চীনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বেইজিংয়ে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কতায় বলা হয়, মঙ্গোলিয়া থেকে আসা ধূলিঝড় বেইজিংকে ঘিরে থাকা গানসু, শানজি ও হেবেই প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, সাম্প্রতিক ধূলিঝড়ের উৎসস্থল মঙ্গোলিয়া। এবার বসন্তে সেখানকার তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে উষ্ণ। এছাড়া বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এই অঞ্চলের উন্মুক্ত মাটিতে ধূলিঝড়ের উপযোগী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে ১৫ মার্চও বেইজিং প্রবল ধূলিঝড়ের কবলে পড়ে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এপ্রিলেও শহরটিতে আরও ধূলিঝড় হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শহীদুল আলম,
বার্তা সম্পাদক : মো. সাকিবুজ্জামান সবুর
অফিস: কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি- ৮৪৩০
মোবাইল: ০১৭১২৫২৯২৬৬, ০১৭৭৪৯৩৭৭৫৫
ই-মেইল: kathaliabarta@gmail.com
Copyright © 2025 কাঠালিয়া বার্তা. All rights reserved.