মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আমন ধান চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। শ্রাবণের শেষে জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধান রোপনে ব্যাস্ত কৃষক। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। তবে এবছর আষাঢ়ের শুরু থেকেই বিরামহীন বৃষ্টি ও বিষখালী নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বীজতলা ও জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে রোপা আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে ও মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দেরি হলেও মাঠ জুড়ে যেন রোপা আমন ধান রোপানের প্রতিযোগিতা চলছে। শতব্যাস্ত দেখেও কয়েকজন চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জমি ডুবে থাকায় আমন ধান রোপনে কিছুটা দেরি হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের খরচ অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই তাদের লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ধান চাষ করতে পারছেন না।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাষি আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকই বর্গা চাষি, এদের নিজেদের জমি নেই। এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। এমনিতেই যে টাকা খরচ করে ধানের চাষ করা হয় ধান বিক্রয় করলে সে টাকাও হতে চায় না। এছাড়া আমরা বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানের চাষ করে থাকি।
চাষী হাবিব হাওলাদার বলেন, প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে মাঠে মাঠে রোপা আমন ধান রোপন শুরু হয়। কিন্তু এই বছর জমিতে পানি বেশি থাকায় আমরা ধানের চারা রোপন করতে বিলম্ব হচ্ছে।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. হাছিবুর রহমান বলেন, এ বছর ১০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২০ ভাগ জমিতে আমন চারা রোপন করা সম্ভব হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমিতে চারা রোপন সম্পূর্ণ করতে পারবে চাষিরা আশা করছেন। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে ইতিমধ্যে উপজেলার ১০০জন কৃষকের মাঝে করোনাকালীন প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।