শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কবে থেকে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে জানালেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের যে আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী চেয়ার বেয়ে উঠে পুলিশ কর্মকর্তার আঙুলে সাপের কামড় ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘর ছাড়া বিএনপি নেতারা, ভয়ে আছে কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০৪ মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেই কাঠালিয়ায় শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বাঁধা, পুলিশের লাঠিচার্জ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ, আহত-৪ কাঁঠালিয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মসজিদের ইমামের সংবাদ সম্মেলন কাঠালিয়ায় হেলিকপ্টারে করে বউ আনলেন সুমন তালুকদার কোটা আন্দোলন : এক দিনে গেল ছয় প্রাণ
অর্থভাবে বিনা চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ইন্তেকাল

অর্থভাবে বিনা চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ইন্তেকাল

অর্থভাবে বিনা চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ইন্তেকাল

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

বাবা ছিলেন ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা। বাংলাদেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে, মা বোনের ইজ্জত বাঁচাতে নিজ পরিবারের কথা না ভেবে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। যেই বাবা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য সেই বাবার সন্তান আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অর্থভাবে বিনা চিকিৎসায়।

বলছি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শেখ এনছান আলীর কনিষ্ঠ সন্তান মাহমুদুল ইসলাম রনির (৩৫) কথা। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেক্টাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বাংলাদেশের ডাঃ বলছিল ইন্ডিয়া গিয়ে অপারেশন করাতে। কিন্তু তাতে সব খরচ মিলিয়ে বিশ থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকার দরকার ছিল। কিন্তু রনির কাছে মুক্তিযুদ্ধের সন্তানের আত্মসম্মান ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। দুইবার ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলেও ৫০ হাজার টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়ায় বাতিল করা হয় আবেদন। যেই দেশে রাজাকারের সন্তান জীবনযাপন করে উচ্চ বিলাসি আর সেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের সন্তান মারা যায় অসহায়ের মত। এই জন্যই কি স্বাধীন করতে ঝাপিয়ে পরেছিল মুক্তিযোদ্ধারা?

ছোট একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রনি চালাতো পাঁচ বছরের এক সন্তান সহ নিজের সংসার। তিন বছর যাবৎ এই রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজ সম্পদের প্রায় সবটুকুই হারিয়েছিল। আজ নিজ সন্তান এবং স্ত্রীর ভবিষ্যত অন্ধকার করে নিজেই পারি জমিয়েছে পরপারে। রনি আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের প্রপ্য বুঝে পেতে ফিরে আসবেনা কোনদিন। কিন্তু আর কতকাল রনিরা এমন বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে? এমন দিনের অপেক্ষায়ই কি রনিদের বাবারা ঝাপিয়ে পরেছিল মুক্তিযুদ্ধে?

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

সম্পাদকীয় কার্যালয়: কাঠালিয়া বার্তা
কলেজ রোড, কাঠালিয়া, ঝালকাঠি।
মোবাইল: 01774 937755









Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana